পূজনীয়া মা 04

Story Info
Mother's childhood growing up.
6.8k words
4
20.6k
0

Part 4 of the 5 part series

Updated 06/08/2023
Created 08/16/2010
Share this Story

Font Size

Default Font Size

Font Spacing

Default Font Spacing

Font Face

Default Font Face

Reading Theme

Default Theme (White)
You need to Log In or Sign Up to have your customization saved in your Literotica profile.
PUBLIC BETA

Note: You can change font size, font face, and turn on dark mode by clicking the "A" icon tab in the Story Info Box.

You can temporarily switch back to a Classic Literotica® experience during our ongoing public Beta testing. Please consider leaving feedback on issues you experience or suggest improvements.

Click here
nil_r2
nil_r2
22 Followers

পূজনীয়া মা

অনুবাদকঃ শ্রী মোহনদাস সিংহ

Part- IV

১৮শ জন্মদিনের উৎসবমুখর মধ্যাহ্নভোজন ও মার সান্নিধ্যে বিকেল

দুপুরবেলা খাওয়া হল বেশ হৈ হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে। দিদিমা খুব যত্ন করে খাবার পরিবেশন করছিলেন আমাকে যথারীতি।

আমার ছেলেবেলার মামাবাড়িতে খেলার সঙ্গী মিনুদির ছেলে ভুতো এসেছিল। মিনুদি তাকে আসতে বলেছিল। মিনুদির মেয়ে খেঁদিকে মাঝে মাঝেই দেখতে পাচ্ছিলাম। সে আমার থেকে বছর পাঁচেকের বড় হলেও ছেলেবেলায় তার সঙ্গে লাফ দড়ি আর কিত্কিত্ খেলেছি খুব। সে তার দুবছরের একটি কোলের মেয়েকে নিয়ে আজ রান্নাঘরের কাজ সামলাচ্ছে।

খাবার দিতে দিতে আমার দিকে ঘোমটার আড়াল দিয়ে তাকিয়ে দুবার মুচকি হেসে গেছে সে। মিনুদির মত তার মেয়ে খেঁদির গায়ের রঙও ঘোর কালিবর্ণ। কিন্তু মায়ের মত দানবাকৃতি না পেলেও তার চেহারা মোটা, বেঢপ। হাঁটার সময় দুম্ দুম্ শব্দ হচ্ছিল।

খেতে খেতে গ্রামের দূর সম্পর্কের বেশ কিছু আত্মীয়-আত্মীয়ার সঙ্গে পরিচয় হল। রাঙামামিমার মা বাবা আর দাদা সস্ত্রীক এসেছিলেন। তাঁরা আমার জন্মদিনে আশীর্বাদ করে গেলেন।

দিদিমা সবসময় আজ হাসিমুখে ছিলেন। সবাইকে বলছিলেন, আমাদের বাবু আজ কত বড় হয়ে গেছে, এবারে কলেজে পড়তে যাবে।

বেলা তিনটের দিকে সবার খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে ঘরের কাজের লোকেরা খেতে বসল। আমারও ততক্ষণে সবার সঙ্গে আলাপ সারা হয়ে এসেছে। মন খুশিতে টগবগ করলেও দুপুরের পুকুরে দাপাদাপির জন্যে শরীরে ক্লান্তি নেমে আসছিল দ্রুত।

ছোটমাসি আমার পাশে এসে বাম হাত ধরে টেনে আমার ঘরে নিয়ে এল সবার মধ্যে থেকে, বাবু আজকে খুব ক্লান্ত। সবাই ওকে এবার বিশ্রাম নিতে দাও।

রাঙামামিমার বাবা-মা সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে বললেন, হ্যাঁ, বাবা তাই যাও।

রাঙামামিমার বৌদি তাঁর আট বছরের ছেলে টুবাই-এর হাত ধরে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি হাসিমুখে যোগ করলেন, তোমরা বাবা শহরের ছেলে। লেখার কাছে শুনলাম তুমি নাকি আজ পুকুরে অনেকক্ষণ সাঁতার কেটে চান করেছ। তোমরা কি আর গাঁয়ের ছেলেপিলেদের মত অত খাটনি সহ্য করতে পারবে? যাও, একটু ঘুমিয়ে বিশ্রাম নাও গিয়ে।

ছোটমাসি আমার আগে গিয়ে দোতলায় যাবার সিঁড়ি দিয়ে উঠতে শুরু করল। তিন ধাপ উঠেই ঘাড় বাঁকিয়ে পিছন ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, কিরে থামলি কেন, আয়! বলেই আবার ধীর পায়ে উপরে উঠতে শুরু করল।

ছোটমাসি স্নানের পর আজ পরেছে সিল্কের একটি জামদানি শাড়ি। তার ভারী সুগোল নিতম্ব আরও ভরাট দেখতে লাগছে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার তালে তালে মাসির পাছার দুলুনি আমার বুকে তরঙ্গ তুলল। দোতলায় উঠে ছোটমাসি এক মুহূর্ত দাঁড়াল আমার জন্যে। আমি দোতলার বারান্দায় পৌঁছতেই সে নীরবে আমার বাম হাতটি তুলে নিল নিজের হাতে। কোনও কথা না বলে ডান দিকে ঘুরে আমার ঘরের দিকে মন্থর গতিতে হাঁটতে শুরু করল। আমার বাম করতল ছোটমাসির সামান্য স্বেদসিক্ত নরম ডান হাতের মধ্যে বন্দী।

মাসির কালো কোঁকড়ান চুলে ভরা মাথা আমার চিবুকের ঠিক নিচেই। চুল ক্লিপ দিয়ে খোঁপা করা। মাথার সিঁথিতে দগদগে লাল সিঁদুরের রেখা। আমার হাতের পিঠে ঠুন্ঠুন্ করে লাগছে মাসির হাতের লোহা, পলা আর শাঁখার মৃদু আঘাত। মাসির চলার ছন্দে বেজে উঠছে তার পায়ের মল, আর তারই সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছিল জামদানি সিল্কের শাড়ির খস্খস্ শব্দ।

প্রায় পঞ্চাশ গজ হেঁটে আমরা যখন পৌছলাম বাড়ির দক্ষিণ কোণে আমার ঘরের বন্ধ দরজার সামনে, আমার চেতনা ভরপুর হয়ে এসেছে এসকল অনুসঙ্গে আর ছোটমাসির স্নিগ্ধ নরম গায়ের গন্ধে।

ছোটমাসি আমার হাত ছেড়ে দুহাত দিয়ে বন্ধ দরজার হ্যাসবোল্ট টেনে খুলল। ঘরের ভিতরে ঢুকে বলল, বাবুসোনা আয়?

আমি সম্মোহিতের মত নিজের ঘরে কুন্ঠিত হয়ে প্রবেশ করলাম। ছোটমাসিকে দরজার কাছে রেখে এগিয়ে গেলাম আমার খাটের দিকে।

খাটে চিৎ হয়ে শুয়ে আমি ডান দিকে ছোটমাসির দিকে মুখ ফেরালাম। সে তখন দুই দরজা ভেজিয়ে দিয়ে, পরদা টেনে দিয়ে আমার খাটের দিকে আসতে শুরু করেছে। আমার পায়ের দিকে, বাড়ির পুব মুখের পরদা ঢাকা চওড়া খোলা জানালা দিয়ে আসছে জলছবির মত হাল্কা আলো। তার সঙ্গে মিশে গেছে দাদুর লাগানো বিচিত্র সব আয়ুর্বেদিক গাছপালা, লতাপাতা ও ফুলের সুবাস। মাসির ফর্সা মুখে সে আলো মায়াময় এক আবরণ তৈরি করেছিল। আমার চোখে চোখ পড়তেই ছোটমাসির মুখ হাসিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তার কপালের মাঝখানের লাল টকটকে সিঁদুরের টিপ ঝলমল করে উঠল।

এবারে মাসি বাম হাত বাড়িয়ে দেয়ালে পাখার সুইচ টিপে আমার মাথার উপরের পাখা চালিয়ে দিল। তারপর হরিণীর মত লঘু পায়ে সে দরজা থেকে আমার খাটের প্রায় আট ফুট দূরত্ব অতিক্রম করে আমার পেটের কাছটিতে বিছানায় বাম পাছা ঠেকিয়ে আলগোছে বসল। আমার মাথার কাছে বাম হাত স্থাপন করে কনুই-এ ভর দিকে ঝুঁকে মুখ নামিয়ে আনল আমার মুখের কাছে। ছোটমাসির মুখ ভরা হাসির চ্ছটায় যেন চরাচর আবিষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তারপর সে তার নরম অল্প ভেজা ঠোঁট দুটি নামিয়ে আনল আমার গালে, আমার চোখের পাতায়। ছোটমাসির মুখে তখন অস্ফুট ধ্বনি, আমার সোনাবাবু, আমার মানিক বাবু, আমার সোনাসোনা, আমার মানিক সোনা।

বারবার বলতে লাগল, আর তার চুমো দিয়ে ভরিয়ে দিতে লাগল আমার মুখ, আমার কপাল, গলা।

বৃষ্টির ধারার মত অজস্র চুমুর মাঝখানেই মাসি তার ডান হাতখানি বাড়িয়ে পুট্পুট করে খুলে দিল আমার পাঞ্জাবির সোনা বাঁধান বোতামগুলি। হাতটি প্রবেশ করিয়ে দিল পাঞ্জাবির মধ্যে, আমার নগ্ন বুকের কচি রোমাবলীর উপর। অশান্ত সেই হাত কখনও কখনও খামচে ধরছিল আমার বুকের নরম রোম। হাতের বুড়ো আঙুল ও তর্জনী দিয়ে একবার চিমটি কেটে ধরল আমার ডান স্তনবৃন্ত।

মাসির নিবিড় আদরে শিরশির করছিল আমার সারা শরীর; বুকের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা মাথা খুঁড়ে মরছিল। আমি দুহাত মাসির বগলের তলা দিয়ে নিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম মাসির পিঠ। মাসি মাসি মাসি, আমার ছোটমাসি!

আমি প্রবল আকর্ষণে টেনে নামালাম মাসির শরীর। টানের প্রাবল্যে মাসি হুমড়ি খেয়ে পড়ল আমার বুকের উপর। তার দুই নরম স্তনপিন্ড আমার বুকে পিষ্ট হয়ে গেল মুহূর্তের জন্যে। চকিতে মাসির দুই ব্যাগ্র ঠোঁট খুঁজে পেল আমার মুখ। তৎক্ষণাৎ আমার নিচের ঠোঁট বন্দী করল তার দুই ঠোঁটের মধ্যে। আমি মাসির উপরের ঠোঁট প্রায় গিলে নিলাম আমার মুখের মধ্যে। আমার জিভ ছোটমাসির উপরের দাঁতের পাটির মাড়ির উপর তুলির মত করে টানলাম একবার। অনুভব করলাম তার মিষ্টতা। মাসি দুই পাটি দাঁতের অর্গল মুক্ত করে জিভ ঢুকিয়ে দিল আমার মুখের মধ্যে। হটাৎ অনুভব করলাম মাসি একদলা থুতু ঢুকিয়ে দিল আমার মুখের মধ্যে। আমি সে অমৃতরসের দলা চুষে খেয়ে নিলাম তখুনি। মাসির ঘন নিঃশ্বাসে পুড়ে যাচ্ছে আমার মুখ। আমরা প্রাণভরে খেলাম পরস্পরের লালারস অনেকক্ষণ ধরে। কিছুক্ষণ পর মাসি ঝটপট করে আলিঙ্গন মুক্ত করার চেষ্টা করল; মুখে তার উম্ উম্ ঊম্ শব্দ। বিফল হয়ে আবার করল দুহাত উপরে তুলে ঝটপট - যেন তার দম বন্ধ হয়ে যাবে এক্ষুণি। আমি তবুও ছাড়ছিনা মোটেই। মাসি এবার প্রবল ধাক্কা দিয়ে আলিঙ্গন মুক্ত হয়ে হাঁ হাঁ করে হাঁফাতে লাগল। কী দস্যি ছেলে রে বাবা! বলে হাসতে লাগল।

ছোটমাসি এখন হাসিমুখে আমার দৃষ্টিতে দৃষ্টি রেখে সারা বুকে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল। শাঁখাচুড়ির মৃদু ঘসা লাগছিল আমার বুকে। মাসির ধবধবে গৌরবর্ণ মুখ লাল টকটকে দেখতে লাগছে। বুক থেকে খসে পড়েছে বিস্রস্ত আঁচল। সিল্কের ব্লাউজের তলায় পীন স্তনদুটির উদ্ধত ভঙ্গি আর দ্রুত নিঃশ্বাসের তালে তালে তাদের ঘন ঘন ওঠাপড়ায় আমার রক্তে এখন প্রবল জোয়ারের স্রোত। স্তন বিভাজিকার গভীর প্রায়ান্ধকার রেখা কত মায়াময়!

আমি মাসির হাতের সোনার চুড়িতে আঙুল ঢুকিয়ে খেলতে খেলতে বললাম, মাসি তোমার ছোটবেলার গল্প বল।

মাসি আমার গালে হাত বুলিয়ে বলল, এখন ঘুমো, পাগল ছেলে। রাতের বেলা খাওয়ার পর খোকনকে ঘুম পাড়িয়ে আসব -- ও ক্লাস ফাইভে উঠলে কী হয়, এখনও আমাকে ছাড়া ঘুমোতে পারে না। বলে একটু হাসল। তারপর হাসতে হাসতে বাম হাত দিয়ে আমার দুই চোখ ঢেকে দিয়ে ববলল, আজ রাতে অনেক গল্প করব কেমন? নে এখন ভালো করে ঘুমো -- রাতে অনেক জাগতে হবে।

এরপর কেবল মনে আছে ছোটমাসি উঠে ভেজানো দরজা দুটি খুলল। এতই ক্লান্ত ছিলাম যে মাসি কখন ভেজানো দরজা খুলে তারপর দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে গেল জানতে পারিনি।

ঘুম ভাঙ্গল প্রায় সন্ধের দিকে, বেলা পাঁচটার একটু পরে। ঘরে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে -- মা এসে পুব দিকের আর দক্ষিণ দিকের জানালা দুটোর কপাট বন্ধ করে দিচ্ছিলেন। বেলা থাকতে থাকতে বন্ধ না কারলে এই দুদিনেই দেখেছি এই স্যাঁতসেঁতে গরমের সন্ধ্যায় মশার ভারী উৎপাত হয়। জানালাগুলি বন্ধ করে পর্দাগুলো টেনে দিয়ে মা বললেন, "চল্, হাঁটতে যাই একটু"।

খালি পায়ে আমরা দু'জনে হাঁটতে বেরোলাম। ঘরে অন্ধকার মত হয়ে এলেও বাইরে তখনও পড়ন্ত রোদের বেশ কড়া আলো।

বেরনোর মুখে দেখি মিনুদি উঠোনে বসে নিজের মেয়ে খেঁদির সঙ্গে কথা বলছে।

রাঙামামিমা রূপার চুল বেঁধে দিচ্ছে। ছোটমাসির ছেলে কমল রূপার জন্যে অপেক্ষা করছে একটা থাম ধরে। ওরা এখন খেলতে যাবে। রাঙামামিমা আমায় দেখে চোখ মটকে হাসল। বলল, বাবু পারু এখন রান্নাঘরে খোকন আর রূপার জন্যে দুধ গরম করছে। ওরা খেয়ে খেলতে বেরোবে। তুই একটু দাঁড়া। পারু হয়তো তোদের সঙ্গে বেড়াতে যেতে চাইবে।

আমি হেসে মার দিকে চাইতে মা বললেন, লেখা, পারুর আসতে আসতে আমরা মায়ে পোয়ে একটু বেড়িয়ে আসি। ওকে বলিস আমরা যাব আর আসব।

আষাঢ়ের শুরু হলেও আকাশে বর্ষার মেঘের ছিটে দেখা যায় না, কেবল মাঝে মাঝে রুপোলি মেঘ দু'একটা চরে বেড়াচ্ছে। এই প্রায় গোধুলিবেলায় সূর্যের পুড়িয়ে দেওয়া আগুন না থাকলেও বাতাসে তাপ রয়েছে; একটু জোরে হাঁটলেই রোমকূপ থেকে বিনবিনিয়ে ঘাম ফুটে ওঠে।

মামাবাড়ির সামনে পুবদিকের রাস্তা দিয়ে হন্হন করে এক যুবক খালি গায়ে মালকোঁচা মারা ধুতি পরে চলেছে উত্তর দিকে। খালি খালি একটা ভ্যান রিক্সা যেতে হেঁকে জিগ্যেস করল, স্টেশনে যাবা নাকি? ভ্যানওয়ালা কিছু উত্তর দিতেই লাফ দিয়ে চড়ে বসল রিক্সার উপর। তারপর দুজনে কিছু বলাবলি করে ঊচ্চস্বরে হেসে উঠল। পিছনে পিছনেই একদল ছেলেপিলে হৈ হৈ করে ডাংগুলি খেলতে খেলতে এল।

গ্রাম বাংলার এসব রোজকার দৃশ্যেই আমাদের মত শহরের ছেলেদের বুকে নস্ট্যালজিয়া উথলে ওঠে। তাই চোখ সরাতে পারছিলাম না।

পাশ থেকে মা বললেন, পুবদিকের রাস্তায় চলাচল বড় বেশি। চল, আমরা উল্টো দিকে পুকুরের ধার দিয়ে হেঁটে আসি।

আমি সঙ্গে সঙ্গে মাথা নাড়লাম, হ্যাঁ মা, তাই চল।

পুকুরের পাড়ের লম্বা লম্বা ঘাসগুলিতে কিন্তু শীতল স্নিগ্ধতা। মা আমার বাম হাতটি ধরেছেন তাঁর ডান হাত দিয়ে। হাঁটার ছন্দে, মাঝে মাঝে তাঁর স্তন ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার বাম বাহু, মন্দ মন্দ বাতাস উড়ে যাচ্ছে পুকুরে পিছনের ঘাসজমির উপর দিয়ে আমাদের ছুঁয়ে, রোদের আলো আসছে নরম হয়ে।

মা বলতে শুরু করলেন তাঁর ছেলেবেলার কথা। তাঁরা খেলতেন বুড়িছোঁয়া, গোল্লাছুট, কিত্কিত্, লুকোচুরি গ্রামের মেয়েরা মিলে।

তাঁর আমগাছে চড়ার স্মৃতি, আমড়া পেড়ে খাওয়ার সেই হাস্যমুখর দিনগুলির কথা, ঘন সন্ধ্যার অন্ধকারে পড়শির বাড়িতে গিয়ে সত্যনারায়ণ পুজোয় বাতাসার হরিল্লুঠের কলরব করে বাতাসা কুড়োনোর কাহিনী শুনতে শুনতে আমি ভাবছিলাম - এমন ছেলেবেলা আমাদের হল না কেন। আর মাঝে মাঝেই টুকরো টুকরো প্রশ্ন করছিলাম; যেমন -- হরিল্লুঠ ব্যাপারটা কি? মা প্রশ্ন শুনেই মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন, তাঁর বড় বড় দুই চোখে খুশি ঝিলিক দিয়ে উঠছিল। তারপর থেমে বিস্তারিত করে বুঝিয়ে বললেন হরিল্লুঠের ক্রিয়াকলাপ ও তাৎপর্য।

মা এবারে দুটো পুজোর কথা বললেন -- তার মধ্যে একটার নাম আমি কোনওদিন শুনিনি। চড়কের পুজো ও মেলা আর কুমীর পুজো। চড়কের পুজোর কথা তো বেণীমাধব শীলের কোনও পঞ্জিকা খুললেই দেখা যায় কিন্তু কুমীর পুজো ব্যাপারটা আবার কি?

মা হাঁটা থামিয়ে দিয়ে ঘুরে আমার মুখোমুখী দাঁড়িয়ে মাথা তুলে আমার চোখে চোখ রাখলেন। তাঁর মুখ কৌতুকের চ্ছটায় ঝকমক করছে। এখন আমার দৃষ্টি জুড়ে রয়েছে আমার মায়ের পাঁচফুট চার ইঞ্চির ঈষৎ ভারী চেহারাটা।

তিনি ঊচ্চতায় আমার চেয়ে প্রায় ইঞ্চি ছয়েক খাটো, তাই সামনাসামনি দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় আমার চোখে দৃষ্টি রাখতে গেলে মা বরাবর তাঁর মুখটা একটু তুলে ধরেন। কী অপূর্ব যে লাগে মাকে এসময়! পুরো দেবী মুখ -- উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, সিঁথিতে গাঢ় লাল সিঁদুর, ঘন কালো জোড়া দুই ভ্রুর নিচে আয়ত দুটি চোখ, ছোট একটি নাক, নাকের নিচে ঈষৎ পুরু রক্তিম ওষ্ঠাধর, ঊদ্ধত চিবুক! মা তাঁর মুখটি আমার দিকে তুলে ধরায় তাঁর গলা চাবুকের মত টান্টান হয়ে গেছে। তাঁর গলার স্পষ্ট তিনটি ভাঁজে গোধুলির কনে দেখা আলো খেলে এক অপূর্ব ইন্দ্রজাল তৈরি করেছে। ভালবাসায় আমার গলা বুজে এল।

মা বললেন, নদী মাতৃক বাংলাদেশে সাপের মত কুমিরেরও উপদ্রব ছিল। এখানের বেশির ভাগ অধিবাসীরই পূর্ববাংলায় আদিবাড়ি। ১৯৪৭ সালে, দেশবিভাগের সময়, কিম্বা তার আগে পরে ঊদ্বাস্তু হয়ে এসে বনগাঁ, গোবরডাঙ্গা অঞ্চলে বসতি গড়েছে। তাদের সব পুজোআচারও সেইজন্যে পূর্ববঙ্গের প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী। সেখানে সাপের পুজো হয় কুমিরের পুজো হয়। সুন্দরবন অঞ্চলে যেমন বাঘেরও পুজো হয়। হিন্দুদের বাঘের দেবতার নাম সেখানে দক্ষিণরায়, আর মুসলমানেরা সেখানে গাজি বাবার পুজো করেন।

আমি মার কথা আবিষ্ট হয়ে শুনছিলাম।

মা আমার চোখ থেকে দৃষ্টি না সরিয়ে বলে চললেন, এ কাদা মাটি দিয়ে কুমিরের একটা বিশাল বড় মূর্তি গড়ে পুজো হয়।

ঝলমল করে হাসলেন মা, দাঁড়ান মূর্তি নয় কিন্তু! উপুড় হয়ে শোয়া স্বাভাবিক লম্বা একটা মাটির কুমির। খেজুরের পাতা দিয়ে সে কুমিরের কাঁটা তৈরি হয়। আরও কী মজার ব্যাপার জানিস বাবু? পুজোর শেষে কুমিরের গলায় বলি দিয়ে কাটা জয়গায় আলতা দিয়ে রক্ত বানিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

তারপর পুকুরের জলের দিকে চেয়ে মা বললেন, আমি আর মিনু এসব পুজোতে একসঙ্গে যেতাম। নীল পুজোতে একটা লোক খেজুর গাছে উঠে নিচে ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিত কচি খেজুর। দুজনে কোঁচড় ভরে হুড়মুড়িয়ে কুড়িয়ে নিতাম তা।

সেসব ভারী মজার দিন গেছে! মা আনমনা হয়ে দূরের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে হাসলেন।

মা, মিনুদিকে তুমি কতদিন ধরে চেন?

কেন রে? মা আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে হাসলেন।

পুকুরে চানের সময় তোমাকে নিজের শরীর দিয়ে আড়াল করে রাখছিল, না? মিনুদি তোমার ব্যাপারে খুব প্রোটেকটিভ, তোমার প্রতি একটা দারুণ সম্মান দেখলাম।

মিনুর আর আমি তো বড় হয়েছি একসঙ্গে। আমার থেকে বছর দুয়েকের বড় হবে বুঝি। ছেলেবেলার আমার একমাত্র বন্ধু।

কতদিনের বন্ধুত্ব তোমাদের?

আমরা এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। মা ঘুরে পুকুরের দক্ষিণ-পশ্চিম বরাবর এবারে আবার হাঁটতে শুরু করেছেন। খুব হাওয়া দিচ্ছে দক্ষিণ দিক থেকে। মার কালো মনোরম কল্কা আঁকা সাদা ঢাকাই তাঁতের শাড়ির আঁচল হাওয়ার ঝাপ্টায় উথাল পাথাল করছে।

মা আঁচল সামলাতে সামলাতে বললেন, দেশবিভাগের পরপরই বাবা বাংলাদেশ থেকে পরিবার গুটিয়ে এখানে চলে আসেন। তখন আমার মাত্র পাঁচ বছর বয়স। মিনুর বাবা আমাদের বাড়ির জমা আমাদের বাড়িতে জন খাটত। আমার যখন আট বছর বয়স, বর্ষার এক রাতে বাবা তখন কলকাতায় মল্লিকবাড়িতে চিকিৎসা করতে গেছেন। মিনুর বাবাকে সেই রাতে একটা কেউটে সাপে কামড়ায়। বাবার অনুপস্থিতির জন্যে, এক ওঝা এসে বাঁচানোর চেষ্টাতেস্টা করলেও সফল হয়নি। সেই রাতেই মিনুর বাবা মারা যায়।

আমি শুধোলাম, তারপর?

মা একটু এগিয়ে গেছেন, বাবা যখন তাঁর রোগী দেখে কলকাতা থেকে ফিরে এলেন সপ্তাহখানেক পর, ততদিনে অনেককিছু হয়ে গেছে।

বাবা সন্ধ্যায় তামাক খেতে খেতে মায়ের মুখ থেকে চুপ করে সব শুনলেন। মা বাবাকে বললেন, মিনুদের একটা কিছু ব্যবস্থা করা যায় না? সোমত্ত বিধবা মেয়েমানুষ একা নিজেদের বাড়িতে মেয়ে নিয়ে থাকবে কি করে?

বাবা কিছুক্ষণ ভেবে তারপর মাকে বললেন, বড়বউ মিনুর মাকে বাইরের গোলারঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দাও।

সেই থেকে মিনুরা আমাদের বাড়িতে থেকেই বাড়ির কাজ কম্ম সামলায়। আগে ধানের গোলায় পাশের ঘরটাতে থাকত। এঘটনার বছর দুই পর বাবা পাকা বাড়ি বানাতে, ওরা একতলায় রান্না ঘরের পাশের ঘরটিতে সেই থেকে রয়েছে। সেই তখন থেকে আমরা বন্ধু। প্রায় তিরিশ বছরের বন্ধুত্ব। আমি যখন আমাদের গ্রামের ইস্কুলে পড়তে যেতাম মিনুকেও বাবা ভর্তি করে দিয়েছিলেন একই ক্লাসে।

মা আমার একটু সামনে পুকুর পাড়ের দীঘল সবুজ ঘাসের মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলেছেন। পুকুরের দামাল হাওয়া কিছুটা স্তিমিত হয়ে এসেছে। মা তাঁর ডান দিকে আমার মুখে চকিত চেয়ে হাসলেন। আমি মুগ্ধ হরিণের মত তাঁর পাশে ঘেঁষে এলাম। মাঝে মাঝেই তাঁর কনুই অবদি ঢাকা ঘি রঙা ব্লাউজের ঘসা লাগছে আমার পাঞ্জাবি পরা বাম হাতে। চলার ছন্দে তাঁর কব্জির চুড়ি গাছি, লোহা পলা ও শাঁখা ঠুক্ঠুক করে মনোরম আঘাত দিচ্ছে আমার বাম হাতের যেখানে সেখানে।

মা, মিনুদি আর তুমি ছেলেবেলা থেকেই অনেক গোপন কথা শেয়ার করো না?

খিল খিল করে লাজুক হেসে ফেললেন মা আমার আলপটকা প্রশ্ন শুনে।

কেন রে পাজি ছেলে? বলেই হাসতে হাসতে আমার দিকে তাকিয়ে জিভ বের করে ভেংচি কাটলেন। তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, সত্যিই অনেক ছোটবয়েস থেকেই আমার সব গোপন কথার সঙ্গী মিনু। তার কারণটা ওই।

ক্লাস টু থেকে গাঁয়ের একই ইস্কুলে পড়লেও পড়াশুনোয় একদম মন ছিলো না মিনুর। ক্লাস কামাই করে সারাদিন পাড়াময় টো টো করে ঘুরে বেড়ানোয় মিনুর জুড়ি ছিল না কোন। আর বয়েসে বড় সব বিবাহিত মেয়েদের সঙ্গে সারাদিন গল্প করে করে ওই বয়েসেই পেকে ঝানু।

এতখানিক বলার পরই মা ফের তাকালেন আমার দিকে। তারপর যা বললেন তার জন্যে আমি কোন মতেই প্রস্তুত ছিলাম না।

ছোট থেকেই ওর চেহারা ছিল একই রকম লম্বাচওড়া। আর আমার থেকে বছর দুয়েকের বড় হওয়ার জন্যে ক্লাস থ্রি থেকেই ওর বুক ভারি হতে শুরু করে। ক্লাস থ্রিতে ওঠার কয়েকদিন পরেই মিনুর মাসিক হতেই মিনু আমাকে একদিন বিকেলে জড়িয়ে ধরে বলে, তোমার কবে মাসিক হবে গো খুকুদি?

মার মুখে আমার সামনে মাসিক শব্দটি শুনে আমি কেঁপে উঠলাম। আমার মুখ গরম হয়ে উঠল ঝাঁ করে।

মা বলে চললেন, শুনে আমি তো অবাক। শরীরের রহস্যের কিচ্ছু জানতাম না আমি। ঠিক সেই দিনটি থেকেই হয়তো আমাদের বন্ধুত্ব নিবিড় হতে শুরু করেছিল।

আমি চাপ দিলাম মাকে, কতটা নিবিড় মা?

মা উত্তর না দিয়ে আমার বাম হাতের কব্জি ধরে বললেন, এখানে বেশ বসা যাবে -- ঘাসগুলো অত লম্বা নয়। আয় একটু বসি। আকাশও দেখ এখানে কত খোলা।

পায়ের প্রায় হিল বিহীন পাতলা চামড়ার চটিদুটো খুলে জড়ো করলেন আমাদের মাড়িয়ে যাওয়া ঘাসজমির উপর। তারপর ঘুরে, হাঁটু মুড়ে চটিজোড়ার উপর বসতে বসতে আমার হাতে নিচের দিকে টান দিয়ে বললেন, আহ্ বোস না একটু।

অগত্যা আমি বসতে বসতে চারদিকে একবার তাকিয়ে দেখে নিলাম। হাঁটতে হাঁটতে আমরা পুকুর পাড় ছাড়িয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে চলে এসেছি। বাম হাতের কোণাকুনি সামনের দিকে প্রায় শ তিনেক ফুট দূরে পুকুরে লাল সিমেন্ট বাঁধানো ঘাটটা দেখা যাচ্ছে। আর এখান থেকে সোজা পূর্ব দিকে ইতি উতি ফলের বিভিন্ন গাছপালার ফাঁক দিয়ে তাকালে প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে দেখা যায় আমার দোতলার কোণের ঘরটি।

বসে পড়ে ডান হাতে একটু ঘুরে মার দিকে তাকালাম। এই আষাঢ় মাসের বিকেলের স্যাঁতসেঁতে গরমে, এবং প্রায় আধ ঘন্টা খানেক হাঁটার পরিশ্রমে মার মুখ সামান্য লাল, ভ্রূর পাশ দিকে ফোঁটা ফোঁটা ঘামের বিন্দু নামছে শ্লথ গতিতে।

মা, তারপর? বলো না! আমি আরও ডান দিকে ঘেঁষে তাঁর বাম হাতখানি আমার দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ঘন হয়ে এলাম।

তারপর আর কি? তখন তো বড় হচ্ছি। বড় হতে হতে শরীর ব্যাপারে যে কৌতুহল হয় কিশোর-কিশোরীর -- সেসবের উত্তর খোঁজায় মিনু ছিল আমার বন্ধু। মা বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে আমার গালে তাঁর নাক ডুবালেন।

মনে আছে ক্লাস থ্রিতেই পড়ি তখনও। সেবারই বাবা বাড়িতে প্রথম দুর্গাপুজো করেন। অষ্টমীর দিন সকালে মিনু আর আমি পুকুরঘাটে চান সেরে উঠেছি। আর ঘন্টা খানেক পরেই অঞ্জলি। আমাদের দুজনের উপরে ভার বাগান থেকে ফুল তোলার। জল শপশপে ফ্রক আর প্যান্ট ছেড়ে শুকনো শাড়ি পরছি আমাদের শোওয়ার ঘরে গিয়ে। মিনু ভেজা ফ্রক পরে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল। আমার কাপড় পরা শেষ হলে ও আসবে। হঠাৎ তোর দিদিমার গলা শুনতে পেলাম। জোর চিৎকার করছে।

--এই মেয়েরা কী করছিস কি তখন থেকে। তাড়াতাড়ি ফুল তুলতে যা তোরা। দেরি হয়ে যাচ্ছে খেয়াল আছে?

মার তাড়া শুনে মিনু হড়বড় করে দরজা খুলে ঘরে ঢুকেই পরনের ফ্রক খুলে ফেলল। খোলা জানালার পর্দার উপরের ফাঁক দিয়ে ঘর ঢুকেছে সকালের রোদ। কালো শরীরে কৈশোরের ঢল ঢল লাবণ্য। ওর ভারি দুটো বেলের মত বুক দুটোতে এমনিই চোখ চলে গেছিল। ততক্ষণে মিনু ওর ভিজে দড়ি বাঁধা প্যান্ট খুলে ফেলে নামিয়ে দিয়েছে দুই পায়ের নিচে ।

তুমি কি দেখলে মা? আমি রুদ্ধশ্বাসে শুধোলাম। মার বর্ণনা শুনে আমার পুরুষাঙ্গ কঠিন হয়ে এসেছে। আমি ডান হাত বাড়িয়ে মার কোমরের অনাবৃত অংশে হাত রেখে বেড় দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। তাঁর চর্বি যুক্ত কোমরের নরম মাংসে আমার আঙুলগুলি ডেবে গেল।

মা আমার মুখে একবার চকিত চেয়ে তাঁর ডান হাতখানি আমার বাম হাতের আঙুলের উপর রেখে মৃদুস্বরে বললেন, মিনুর ভারী থাইদুটোর মাঝখানে নজর পড়তে সেই প্রথম বুঝলাম বড় হলে মেয়েদের শরীরে কি কি পরিবর্তন আসে।

মার মুখে এ কথা শুনে আমার মাথা থেকে পা অব্দি বিদ্যুতের শিহরণ বয়ে গেল। আমি চোখ বুজে আমার বাম হাত মার আঁচলের নিচ দিয়ে চালিয়ে দিয়ে তাঁর পেট জড়িয়ে ধরলাম। তাঁর ঘাম শুকিয়ে আসা গালে একটা ভিজে চুমু খেলাম। জিভে লাগল নোনতা স্বাদ। চোখ বুজেই অনুভব করলাম মা তাঁর মুখ তাঁর বামে আমার দিকে ঘুরিয়ে আনছেন। তাঁর ঠোঁট ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার দুই ঠোঁট, চেপে বসছে আমার ঠোঁটদুটিতে। তাঁর মুখ সামান্য হাঁ করলেন মা। তাঁর ছোট্ট নরম ঊষ্ণ জিভ আমার ঠোঁটের দরজায় দুবার আঘাত করল। মুখ সামান্য খুলতেই আমার উপরের মাড়িতে, ওষ্ঠের ভিতরের লালাজড়ান মাংসে নরম ভিজে তুলি টানার অনুভূতি। সেই আবেশের মধ্যে আমি যেন বুঝতে পারলাম মার ডান হাত মুঠো করে ধরেছে আমার বাম কাঁধের পাঞ্জাবির কাপড়। তিনি নিজের বাম হাত দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরেছেন। সে হাতের চুড়িগুলির মৃদু দংশনে জ্বলুনি ছড়িয়ে যাচ্ছে গলা থেকে আমার বিস্ফারিত পুরুষাঙ্গে।

যেন স্বপ্নের মধ্যে ভেসে এল বত্রিশ বছর পুরোন একটা ছায়াছবি।

শারদ সকালে গ্রামের একটি মাত্র মন্ডপটিতে পুজোর ঢাক বাজছে থেকে থেকে। মন্ডপে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে সবে। বাইরে সূর্যালোকিত সকাল মুখরিত। তার অদূরে পশ্চিম দিকে নতুন ওঠা পাকা বাড়ির একতলার একটি ঘরে বন্ধ দরজার পিছনে দুটি মেয়ে। দশ বছরের ঈষৎ স্থূল কৃষ্ণকায় একটি গ্রাম্য কিশোরী ও একটি আট বছরের গৌরবর্ণা বালিকা।

বালিকাটির সদ্য চান করা শরীরে অপটু হাতে পরা লাল পাড় সাদা শাড়ি। কিশোরীটিও সদ্য স্নাতা, কিন্তু সম্পূর্ণ উলঙ্গ। তার সর্ব অঙ্গে র্যৌবন প্রকটভাবে জানান দিয়ে আসতে শুরু করেছে। মাত্র দশ বছর বছর বয়সেই তার বুকের নবীন স্তন দুটি বড় বড় ডালিমের আকার নিয়েছে। তিরিশ বছর পরে যে তারা যে দুটি লাউয়ের মত বিশাল আকৃতি নেবে এ যেন তারই পূর্বাভাস।

সব থেকে আশ্চর্য গঠন কিশোরীটির নিম্নাঙ্গের। মাংসল পেটের বাঁকা রেখার থেকে হঠাৎ লাফ দিয়ে নেমেছে বস্তি প্রদেশের উপত্যকার ঢাল। সেখানে কুচকুচে কালো লম্বা চুলে ঢাকা ছোট ঢিবির মত উঁচু যোনিবেদী।

বালিকাটি খুব উৎসুখ হয়ে তার সঙ্গিনীর নগ্ন রূপ বারবার আড়চোখে দেখছিল -- বিশেষ করে দুই তার কালো দুই থামের মত ঊরুর আড়ালে ঘন চুলে ঢাকা জঘনসন্ধি। সে যেন এক পরম আশ্চর্যময় অজানা অঞ্চল। কারণ এই প্রথম সে দেখল এবং জানল যে হিসি করার জায়গাটায় মেয়েদের চুল গজায়। কিশোরীটি শুকনো জামাকাপড় পরতে পরতে বালিকাটির বিস্মিত উৎসুক দৃষ্টি দেখতে পেয়ে হেসে ফেলল।

হাসতে হাসতে নিচু গোপন স্বরে বলল, খুকুদি, আমার গুদে বাল গজাতে শুরু করছিল গত শীতেই। মাসিক হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে। দেখ, তোমারও হতে আর দেরি নেই। দুব্বো ঘাস গজাল বলে। বলেই খিল খিল করে হেসে উঠল সে। হাসির দমকে তার সদ্য গোছানো আঁচল বিস্রস্ত হয়ে কাঁধ থেকে খসে পড়ল।

ফর্সা সুন্দরী বালিকাটি তার ঘাড় পর্যন্ত ছোট করে ছাঁটা মাথা ভর্তি কোঁকড়ান চুল দুলিয়ে বলল, চল মিনু ফুল তুলে আনি, পরে কথা হবে। দরজা খুলে দুজনে ফুলের সাজি হাতে অনেকটা দুদ্দাড় করে বেরিয়ে গেল। অমনি মন্ডপ থেকে ঢাক বেজে উঠল টাক ডুমাডুম টাক টাক টাক শব্দে। আর তার সঙ্গে মিশে গেল শঙ্খধ্বনি, কাঁসর ঘন্টার শব্দ। অঞ্জলির আর দেরি নেই।

হঠাৎই আমার চোখের সামনে ছায়াছবির প্রেক্ষাপট বদলে গেল। কালি পুজো দিন পনেরো আগে শেষ হয়েছে, অর্থাৎ গ্রামের উৎসব এবছরের মত শেষ। গ্রামের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এখন অ্যানুয়াল পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতি সকাল ও সন্ধ্যায় প্রতিটি গৃহস্থ বাড়ি থেকে সুর করে পড়া মুখস্ত করার শব্দ শোনা যায়। শীত সবে পড়তে শুরু করেছে, সূর্যের তাপে এই বেলা বারোটার সময়ও সেই দাহ আর নেই। আকাশে দুএকটা রুপোলি মেঘ দেখা যাচ্ছে। পশ্চিম আকাশে ভালো করে নজর করলে দেখা যায় বড় রুপোলি থালার মত কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়ার চাঁদের ঝাপসা অবয়ব।

nil_r2
nil_r2
22 Followers
12